,

কুড়িগ্রামে ওএমএসের চাল বিতরণে উপচে পড়া ভীড়

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি (ওএমএস) শুরু করা হলেও কুড়িগ্রামে এসব চাল বিক্রির ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ না করেই চাল বিক্রি কার্যক্রম চলছে।

জেলা শহরের পৌর এলাকার দশটি স্পটে ডিলারের মাধ্যমে সপ্তাহে তিনদিন ওএমএস‘র মাধ্যমে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও এক্ষেত্রে মানুষের ভিড় সামলাতে হযবরল অবস্থায় পড়েছে খাদ্য বিভাগ। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের বিভিন্ন সতর্কতামূলক উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কুড়িগ্রাম শহরের ভকেশনাল মোড়, পৌরসভা সংলগ্ন, দাদামোড় সহ বিভিন্ন ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, চাল কিনতে সাধারণ মানুষের প্রচন্ড ভিড়। ডিলার প্রতি বরাদ্দের তুলনায় ভোক্তার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম জানান, প্রথম দিন ডিলার প্রতি ১টন করে চাল বিতরণের বরাদ্দ থাকলেও পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা কমিয়ে দশমিক ৮ টন করা হয়। কিন্তু মানুষের চাপ বেশি থাকায় এই বরাদ্দ দিয়ে ভিড় সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

চাল বিক্রির ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনো নিয়ম মানা হচ্ছেনা, এমন খবরের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তদারকি কর্মকর্তাদের বিষয়টি বলে দেওয়ার পরও তারা সামাল দিতে পাচ্ছেন না। পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতা নিলেও এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পুলিশ থাকলে সামাজিক দূরত্ব থাকে, পুলিশ চলে গেলে সামাজিক দূরত্ব থাকে না। তখন সবাই হুড়োহুড়ি শুরু করে।’

এক্ষেত্রে আনসার বাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতির ব্যবস্থা করা যায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। আগামী দিন থেকে সব নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করছি।’

সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বরাদ্দ কম থাকায় ওএমএস’র চাল বিক্রিতে (জনতার চাপে) সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি, আগামী দিন থেকে বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাবও পাঠানো হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর