,

কোটালীপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় অভিযোগে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের নৈয়ারবাড়ি বহুমুখি উচ্চ বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক মধু সুধন বাড়ৈকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। প্রধান শিক্ষক বলছেন সমাজে তার সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এ বিষয়ে মধু সুদন বাড়ৈ বাদি হয়ে কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নৈয়ারবাড়ি বহুমুখি উচ্চ বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক মধু সুধন বাড়ৈ বলেন, ১৫ আগষ্ট ২০১৯ আমাদের বাড়িতে ধর্মিয় অনুষ্ঠান হয়। ওই দিন আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। পরের দিন আমার চাচাতো ভাই সঞ্জিতের স্ত্রী ও ছেলে সৌম্য বাড়ৈ মোবাইলটি আমাকে দিয়ে যায়। পরে জানতে পারি সৌম্য ওই রাতে পড়ে থাকতে দেখে মোবাইলটি নিয়ে যায় সকালে এসে দিয়ে যায়। ৬ মাস পরে এসে এই গ্রামের দুইজন ব্যক্তি সিদ্ধেশ্বর বাড়ৈর ছেলে সচিন বাড়ৈ এবং মনোরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে সুক রঞ্জন বাড়ৈ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আমি নাকি মোবাইল দিতে আসলে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মারপিট করেছি। মারপিট কারা ৬ মাস পর তিনি মারা যায়। ওই দুইজন গত ১৬ মার্চ এই অপপ্রচার চালিয়ে এলাকায় মাইকিং করে। একটা মিথ্যা ঘটনা অপপ্রচার করে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করছে। আমি এর বিচার চাই।

নৈয়ারবাড়ি গ্রামের সঞ্জিত বাড়ৈ বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক অসুস্থ (লিভার ও ফুসফুসে সমস্যা) জনিত কারনে ভুগছিলেন। অনেক টাকা পয়সা খরচ করে গোপালগঞ্জ , বরিশাল চিকিৎসা করানোর পর ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মারা যায়। ১ মার্চ ২০২০ ধর্মিয় বিধান মতে এলাকার লোকদের নিয়ে সৎ কাজ করি। প্রায় দুই মাস পরে এসে একটি মহল আমার চাচাতো ভাই নৈয়ারবাড়ি বহুমুখি উচ্চ বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক মধু সুধন বাড়ৈর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে , আমার স্ত্রীকে নাকি ১৫ আগষ্ট ২০১৯ সে মারপিট করেছিলো সেই জন্য ৬ মাস পরে মারা যায়। চাচাতো কোন মারপিট করেনি। আমার স্ত্রী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ হঠাৎ অসুস্থ হয়। এর আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলো এবং আমার সংসারের যাবতিয় কাজ সে নিজেই করতো। একই গ্রামের সিদ্ধেশ্বর বাড়ৈর ছেলে সচিন বাড়ৈ এবং মনোরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে সুক রঞ্জন বাড়ৈ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে কেন এবং কি কারনে তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সুক রঞ্জন বাড়ৈ বলেন, কয়েক দিন আগে আমাদের কাছে সঞ্জিত বলেছিলো তার ছেলে মোবাইল নেযার পর স্ত্রী ওই মোবাইল দিতে গেলে নাকি মধু সুধন বাড়ৈ মেরেছিলো। আর সেকারনে তার স্ত্রী মারা যায়। তবে এটা জানিনা ৬ মাস আগে মেরেছিলো তা বলেনি। আমরা এই এলাকায় যেকোন অপরাধের বিরুদ্ধে দাড়াই এটি একটি অপরাধ তাই এর বিরুদ্ধে মাইকিং করেছি।

এবিষয়ে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ লুৎফর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে মাইকিং করছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোট। যার স্ত্রী মারা গেছে তাদের কোন অভিযোগ নেই এবং তারাও এটা সত্য নয় বলে জানিয়েছে। এটা তার সম্মান নষ্ট করার জন্য করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর