,

আর কে চৌধুরীর পক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ী ও আলোকবালিতে ত্রাণ বিতরণ

বিডিনিউজ ১০ ডটকম: প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নেয়া এই ভাইরাস প্রতিরোধে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও শিল্পপতি আর কে চৌধুরী। তার পক্ষ থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালিতে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালি আব্দুল মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আর কে চৌধুরীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে এলাকার সহস্রাধিক অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

এদিকে তার যাত্রাবাড়ীর বাড়ি থেকেও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

আর কে চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমি ২ ও ৩ নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলাম। জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেদিন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আলোকবালিতে কোনো পাক হানাদারকে ঢুকতে দেইনি। এবার শপথ নিয়েছি আলোকবালির একটি মানুষকেও খাদ্যের অভাবে মরতে দিবো না।

উল্লেখ্য, রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে আর কে চৌধুরী কমলাপুর-এয়ারপোর্ট বিশ্বরোডের জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ, অসংখ্য শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী হাইস্কুল (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী ইউসেফ স্কুল (পোস্তগোলা), আর কে চৌধুরী হাসপাতাল যাত্রাবাড়ী, আর কে চৌধুরী কলেজ ও আর কে চৌধুরী দুস্থ মহিলা সেবাকেন্দ্র (জুরাইন)সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।

তিনি ইতোপূর্বে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সাবেক জিএস শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ; সাবেক কমিশনার যাত্রাবাড়ী ও ধানমণ্ডি থানা; বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সময় আওয়ামী লীগের ট্রেজারার; বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান; কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, এফবিসিসিআই’র সদস্য; বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট; আলোকবালী ইউনিয়ন ও নরসিংদী থানা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান; ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সহ-সভাপতি।

আর কে চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ ও ৩ নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে পত্রপত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখছেন। এ পর্যন্ত তার দশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ১. স্মৃতির পাতায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু, ২. বঙ্গ বাংলা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, ৩. একান্ন থেকে একাত্তর ৪. বধ্যভূমির বিস্তীর্ণ স্মৃতি, ৫. একাত্তরের ডায়েরি, ৬. আগরতলা, ৭. দৃষ্টিপাত, ৮. সময়চিত্র, ৯. সময়কথন, ১০. সংলাপ. ১১. কালের চিত্র ও ১২ মুক্তবাক।

এই বিভাগের আরও খবর