,

কাশিয়ানীর ঘোনাপাড়া খেয়াঘাট; কাজে আসছে না ঘাটলা

লিয়াকত হোসেন লিংকন: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া খেয়াঘাটে মধুমতি বাওড়ের পাড়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ঘাটলাটি জনসাধারণের কোন কাজেই আসছে না। ফলে নির্মাণের পর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘোনাপাড়া এলাকায় মধুমতি বাওড়ের তীরে অপরিকল্পিতভাবে ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয়েছে। ঘাটলায় ওঠার জন্য কোনো রাস্তা নেই।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয়। ঘাটলা নির্মাণ কাজ করেছে মেসার্স মেঘনা এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়রা জানান, বাওড়ের এক পাড়ে কাশিয়ানী উপজেলার ঘোনাপাড়া, পরানপুর, রাতইল এবং অন্যপাড়ে লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর, লংকারচর, পাচাইল, সুচাইল, চরসুচাইল, চরপরানপুর ও চরঘোনাপাড়া। এসব গ্রামের মানুষ হাট-বাজার, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এ খেয়াঘাট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। খেয়ায় ওঠা-নামার সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঘোনাপাড়া খেয়াঘাটে ঘাটলাটি নির্মাণ করা হয়। তবে রাস্তা না থাকায় লোকজন এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে নির্মাণের পর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। বর্ষাকালে হাঁটু পানিতে নেমে মানুষের খেয়ায় উঠতে হয়।

মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘খেয়া পারাপার হওয়া লোকজনের চলাচলের জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে এই ঘাটলা নির্মাণ করা হলেও মাটির অভাবে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শিগগিরই ঘাটলার ওপর মাটি ভরাট করা উচিত।’

এ বিষয়ে রাতইল ইউপির চেয়ারম্যান বি, এম হারুন অর রশিদ পিনু বলেন, ‘ঘাটলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।’

গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য লুৎফর রহমান মিয়া লুথু বলেন, ‘ঘাটলাটির প্রকল্প আমি দিয়েছিলাম। ঘাটলার নিচে যে মাটি নেই, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করবো।’

এই বিভাগের আরও খবর