গ্রেপ্তার রাকিব হোসেন ওরফে সেন্টু মিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মজিদ মুন্সীর ছেলে। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক হিসেবে সম্প্রতি অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস বলেন, সেন্টুকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়েছে।
২১ বছর বয়সী ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক মামুন বলেন, মেয়েটির মা গত ৩০ অগাস্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সেন্টুকে গ্রেপ্তার করে।
তার আগের দিন দুপুরে প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে সেন্টু গোয়ালঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
মেয়েটির মা বলেন, তার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই ‘শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী’। মেয়ের কাছে তিনি ঘটনাটি শুনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালে তারা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সেন্টু আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছেন, “মামলার বাদীরা আমার জমির ওপর দিয়ে যাতায়াত করাত। তাতে বাধা দেওয়ায় আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।”
সেন্টুর দাবি, ধর্ষণের মত অপরাধে তিনি জড়িত নন। তাকে ‘ষড়যন্ত্র’ করে ফাঁসানো হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন,
“মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সেন্টুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।