জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর সদর উপজেলায় সেনাসদস্য পরিচয়ে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে মো. মানিক মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিনন্দেরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বটতলা বাজার এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি একজন ভূয়া সেনাসদস্য বলে র্যাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই তরুণীর অভিযোগ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে নিজেকে একজন সেনাসদস্য পরিচয়ে মানিক মিয়া প্রায় এক বছর ধরে জামালপুর সদর উপজেলার পশ্চিম বিনন্দেরপাড়া গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেম করে আসছিলেন। নিজের প্রতি বিশ্বাস জন্মাতে মানিক মিয়া এর আগে একবার ওই তরুণীদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে একজন সেনাসদস্য পরিচয় দিলেও তার ঠিকানা একেক সময় একেকটা বলতেন।
এ নিয়ে সন্দেহ হলে ওই তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের আত্মীয় একজন সেনাসদস্যের মাধ্যমে মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। একই সাথে তারা তাকে গ্রেপ্তারের ফাঁদও পাতেন। সেই ফাঁদে পড়ে মানিক মিয়া রবিবার দুপুরের দিকে ওই তরুণীদের বাড়িতে যান।
খবর পেয়ে রবিবার বিকেল ৪টার দিকে র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কম্পানি অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়ার নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা পশ্চিম বিনন্দেরপাড়া গ্রামে ওই তরুণীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় র্যাব।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মানিক মিয়া নিজেকে একজন সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর সাথে প্রতারণার কথা শিকার করেছেন। কিন্তু সেনাসদস্য হিসেবে তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র ও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে মানিক মিয়াকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়া বলেন, মানিক মিয়া নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয়ে ওই তরুণীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি সেনাসদস্যের পরিচয়পত্র বা বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।