সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি ভাঙ্গাচোরা আর খানাখন্দে ভরা; কোথাও পিচ উঠে গিয়ে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিকল্প সড়ক না থাকায় যাতায়াত ও পণ্যপরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার বিজয়পাশা, সুলতানশাহী, কেকানিয়া, তালা, পাইককান্দি, পুখরিয়া, ঘোড়াদাইড়, জয়নগর, উরফি ও নড়াইল জেলার যোগানিয়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের ওই সড়কে প্রতিদিন ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে।
বিজয়পাশা গ্রামের মো. ঝন্টু মোল্লা বলেন, বিজয়পাশা-তালাহাট সড়কের মাথায় ঘোড়াদাইড় ও পুখরিয়া গ্রামের মধুমতি নদীর তীরে প্রায় ৬০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এ সড়ক দিয়ে এসব ভাটার ইট ট্রাকে বোঝাই করে দিনে ও রাতে সমানে পরিবহন করা হয়।
তিনি বলেন, “অবাধে ভারি যানবাহন চলাচল করায় গ্রামীণ এ সড়কটি দেবে গেছে। পিচ ও পাথরের সিলকোট উঠে ইটের খোয়ার লাল অংশ বেড়িয়ে গেছে। সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।”বিজয়পাশা গ্রামের আব্দুল আলী শেখ বলেন, “দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এ সড়কে এ দশার সৃষ্টি হয়েছে।হাঁটতে গেলে হোঁচট খেতে পড়তে হয়। কোনো সুস্থ মানুষই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারে না, রোগী বা প্রসূতিকে নিয়ে যাতায়াত করা তো সুদূর পরাহত ব্যাপার।”
সদর উপজেলার চর চন্দ্রদীঘলিয়া গ্রামের ইমদাদ মোল্লা বলেন, শুস্ক মৌসুমে এ সড়কে প্রচুর ধুলা উড়ে। মুখে রুমাল চেপেও রক্ষা হয় না; আর বর্ষা মৌসুমে সড়কের গর্তে পানি ও কাদা জমে মরণফাঁদ তৈরি হয়।
বিকল্প সড়ক না থাকায় দশ গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়েই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন।”
তালা গ্রামের গৃহবধূ রুমানা বেগম বলেন, “শুস্ক মৌসুমে বাড়ি ঘর রাস্তার ধূলায় একাকার হয়ে যায়। এ ধূলায় আমাদের হাচি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ধূলা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত এ সড়কের সংষ্কার প্রয়োজন।”