কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: যৌতুকের লোভে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের নির্যাতনের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মোসা. নিগার সুলতানা রত্না নামে এক গৃহবধূ। রত্না কাশিয়ানী উপজেলার পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ গ্রামের শেখ সামছুদ্দিনের মেয়ে ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর মাষ্টারপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী মিয়ার ছেলে সেনা সদস্য আল মামুন মিয়ার স্ত্রী। আল মামুন যশোর ক্যান্টনমেন্ট ১০৫ ব্রিগেট ইউনিটের অধীনে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। নির্যাতনের বিচার পেতে আদালতে মামলা করেও চরম নিরাপত্তীনতায় ভূগছেন এবং মামলা তুলে না নিলে এসিড নিক্ষেপসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওই গৃহবধূর।
গতকাল কাশিয়ানী প্রেসক্লাবে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন রত্না।
এ সময় রত্না অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, ২০০৯ সালে অনার্স পড়াকালে আল মামুনের সাথে রত্নার পরিচয় হয়। আল মামুন প্রথমে ভূয়া কাবিনের মাধ্যমে রত্নাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে ২০১০ সালে শরীয়ত মোতাবেক তাদের দু’জনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর আল মামুনের সেনা বাহিনীতে চাকরি হয়। এরপর থেকেই আল মামুন ও তার পরিবারের লোকেরা যৌতুকের জন্য রত্নাকে চাপ দেয় এবং সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে। প্রায়ই কারণ-অকারণে রত্নাকে মারধর করে আল মামুন। রত্নার সুখের কথা চিন্তা করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র কিনে দেয়া হয়। কিছুদিন ভাল চলে তাদের সংসার। পুনরায় যৌতুকের জন্য রত্নাকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আল মামুন ও তার পরিবারের লোকেরা। এ ব্যাপারে আল মামুনের কর্মরত ইউনিটে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে নিরুপায় হয়ে যশোর আদালতে যৌতুক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন রত্না। এতে আল মামুন ক্ষীপ্ত হয়ে রত্নাকে এসিড নিক্ষেপসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
রত্না বলেন, আমি সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার স্বামীর নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আল মামুন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনীর চাকরি করি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।’