কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারেক (৩০) নামে তালিকাভুক্ত এক জলদস্যু নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি ওয়ান শুটারগান, ২৩ রাউন্ড গুলি এবং চার রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন র্যাব-৭র কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।
নিহত তারেক কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরংয়ের আবদুস শুক্কুরের ছেলে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু দিদারের নেতৃত্বাধীন দিদার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেও দাবি করেন এ র্যাব কর্মকর্তা।
মেজর মেহেদী হাসান জানান, সম্প্রতি জলদস্যুরা সাগর থেকে কয়েকটি মাছ ধরার বোট অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মালিকদের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল তারা। মুক্তিপণ আদায় করতে তারেকসহ একদল জলদস্যু পেকুয়ার মগনামায় আসে।
খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে এক জলদস্যুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তারেক দীর্ঘদিন সাগরে বোট ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু দিদার নেতৃত্বাধীন দিদার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সে। দিদার মারা যাওয়ার পর তারেকই দিদার বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতো। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় দস্যুতা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে চারটি মামলা রয়েছে বলে জানান মেজর মেহেদী হাসান। তারেকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।