,

টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদেক আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ লোকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের একটি সূত্র জানায়, ছিলিমপুর ইউনিয়নের গরিব ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩৪টি টিউবওয়েল বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সেই টাকা দিয়ে নামমাত্র ১২ থেকে ১৩টি টিউবওয়েল বিতরণ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এদিকে ইউনিয়নের পাকুল্যা আনন্দবাজার থেকে চান্দু মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ইট সলিং দিয়ে রাস্তা মেরামত করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। নামমাত্র ওই রাস্তায় থাকা পুরনো ইট দিয়ে কোনোমতে রাস্তা মেরামত করা হয়েছে।

একইভাবে পাকুল্যা আমিনুরের বাড়ি থেকে টিলাপাড়া পর্যন্ত ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে মাটির রাস্তা নির্মাণ করার কথা থাকলেও দায়সারাভাবে কাজ করে টাকা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।

ছিলিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিন দেখা যায়, সরকারি টাকায় টিউবওয়েল পাওয়ার জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাতে যাদের নাম রয়েছে তারা অনেকে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। আবার অনেকের নাম-পরিচয় দেয়া থাকলেও তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই ইউনিয়নে।

অপরদিকে যাদের ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়নে ৪২ জনকে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা মূল্যের ঘর তৈরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ঘর তৈরি করার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। এ কারণে ঘর তৈরির কয়েকদিন পরেই খুঁটিগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, যে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে, তাতে নিুমানের টিন এবং খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ককেয়দিন যেতে না যেতেই সেগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদের এক কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান তার নিজের লোক দিয়ে ঘর তৈরির জন্য টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে নিুমানের কাঠ এবং কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে কম মূল্যে খুঁটি কিনে সেগুলো দিয়ে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন।

ছিলিমপুর ইউনিয়নের সচিব মনিরুজ্জামান জানান, ইউনিয়নে ১ থেকে ৯নং ওয়ার্ডে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে চার লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সবগুলো টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেন তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদেক আলী জানান, বরাদ্দ সবগুলো টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রয়োজনে আপনি ইউনিয়নে গিয়ে দেখতে পারেন। তবে কোথায় কোথায় স্থাপন করা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর