নরসিংদী প্রতিনিধি: মাত্র ১০ বছরের মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, এক লম্পট কলেজ শিক্ষকের লালসার শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তঃস্বত্তা সে। সমাপনি পরীক্ষা সামনে থাকলেও লোকলজ্জা ও অসুস্থতার কারণে মেয়েটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার জানায়, একই গ্রামের গাজিউল রহমান দুলাল নামের কলেজ শিক্ষক ৬ মাস আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। প্রথমে ভয়ে এ ব্যাপারে মেয়েটি কিছু না বললেও বর্তমানে তার শারীরিক পরিবর্তন ধরা পড়ায় সব কথা খুলে বলে।
মেয়েটির মা জানান, ৬ মাস আগে শিবপুর উপজেলার কামারটেক সবুজ পাহাড় অনার্স কলেজের প্রভাষক দুলাল দিনদুপুরে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ঘটনা কাউকে জানালে তার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া এবং তার বড় ভাইকে মেরে ফেলা হবে।
মেয়েটি জানায়, ভয়ে এতদিন সে কাউকে ঘটনাটি বলেনি।
ওই শিক্ষকের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল নাম্বারে কল করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত দুলাল বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। ঘটনা জানাজানির পর থেকে তিনি পলাতক। তবে এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসি। লম্পট ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি উঠেছে।
মেয়েটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘আমার এই শিশুর উপর যে নির্যাতন করেছে তার ফাঁসি চাই।’
মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষকও অভিযুক্ত দুলালের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বেলাব সাংগঠনিক জেলা শাখার সভানেত্রী রাবেয়া বেগম শান্তি জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। নির্যাতিত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে যা যা করণীয় সব তারা করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা জানান, মেয়েটির পরিবার তার কাছে এসেছিল। তিনি থানায় বলে দিয়েছেন মামলা নেয়ার জন্য। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার হবে।
বেলাব থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট হাতে পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।