,

রামুতে রাতের আঁধারে চার বোমা বিস্ফোরণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি: সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের রামুতে উপর্যুপরি ৪টি দেশীয় তৈরি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে গতরাতে গেজেট প্রকাশের খবর প্রচারের পর পরই এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু বাইপাস রোডের জামতলি পাড়া সংলগ্ন এলাকায় বোমা ৪টির বিস্ফোরণ ঘটে।

তবে স্থানীয়ভাবে তৈরি বোমা বিধায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরকে সন্দেহ করছে। কতিপয় দুর্বৃত্ত একটি সিএনজি ট্যাক্সিযোগে উত্তর দিকে থেকে এসেই বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সটকে পড়ে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন রাতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত রামুর হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. একরামুল হক পিপিএম সোমবার দিবারাত ১২টার দিকে জানান, ‘দেশীয় তৈরি বিস্ফোরিত বোমা ৪টির আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।’

তিনি বলেন, বোমা বিস্ফোরণে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সন্দেহ করছে। তিনি জানান, ঘটনার সময় সেখানে সাবেক এক শিবির ক্যাডার (যিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদের সক্রিয় কর্মী) ছিল বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনাস্থলের মাত্র কয়েক শ গজ দুরে রামু বৌদ্ধ পল্লী। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ওই পল্লীর ১২টি বৌদ্ধ মন্দিরে দুর্বৃত্ত দল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনা সেই সময় দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়াও বোমা বিস্ফোরণের এলাকাটিতে বেশির ভাগই রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতি। সংখ্যালঘুদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্যই রাতের আঁধারে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় থানায় এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর