গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি আবাসিক ফ্ল্যাটের ভুয়া হেবা দলিল ও পরে নামজারি করার অভিযোগে দায়েরকৃত প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিশাত খান ২০২০ সালের ৫ জুলাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় (উন্নয়ন ও অধিশাখা) উপসচিব এস এম নজরুল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবাসী মিনহাজুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অন্যকে হাজির করে ভুয়া হেবা দলিলের কাগজপত্র সম্পন্ন করেন। পরে তথ্য গোপন করে ওই নেত্রী তার নিজের নামে ফ্ল্যাটের নামজদারি করে ভাড়াটিয়াকে বের করে দিয়ে বাসা দখলে নেন।
মামলার বাদী মিনহাজুর রহমান বলেন, এর আগেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় সাড়ে ৩০ শতাংশ জমির ভুয়া হেবা দলিলের মামলায় নিশাত আহমেদ গ্রেপ্তার হয়ে গত বছরের ১৭ জুলাই কারাগারে যান।
তিনি বলেন, নিশাত খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, কাবিন ও জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি, চুরি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নীলফামারী জেলায় বর্তমানে ১১টি মামলা চলমান আছে।
এদিকে, ওই আওয়ামী লীগ নেত্রীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে বুধবার রাতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মামলা, চার্জশিট, তদন্ত ও বিচার অনেক গুলি ধাপ রয়েছে। সে (নিশাত) যদি বিচারে দোষী প্রমাণিত হন- তাহলে জেলা কমিটি দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
তবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক এমপি অধ্যাপক জোবেদা খাতুন পারুল বলেন, নিশাত খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের শেষ নেই।
ধানমন্ডি থানার ওসি মো. পারভেজ ইসলাম রাতে বলেন, মামলার পর প্রধান আসামি নিশাত খানকে ধরতে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। বুধবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বনশ্রীতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।