জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন, মাসকলাই ডাল ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা বর্ষণে জেলার ৩ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। একদিকে কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম অন্যদিকে বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, টানা বৃষ্টিতে জেলার ১৪ হাজার ৩৪২ জন কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এদের মধ্যে, ৮ হাজার ৯১৪ কৃষকের ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর জমির মাসকলাই ডাল, ৪ হাজার ৭৮৯ কৃষকের ৩৩০ হেক্টর জমির শাকসবজি, ১১৫ কৃষকের ১১ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ৬০ কৃষকের ৫ হেক্টর জমির পেঁয়াজের বীজতলা, ৭৫ কৃষকের ২৫ হেক্টর নাবী পাট বীজ, ২৫ কৃষকের ৫ হেক্টর তিল ও ৩৬৪ কৃষকের ৯১ হেক্টর রোপা আমন তলিয়ে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জেলার সবকটি উপজেলার কৃষকের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে, সদর উপজেলার শাজাহানপুর, নারায়ণপুর, চরবাগডাঙ্গা, ইসলামপুর, আলাতুলি। শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, মনাকষা, দাইপুকুরিয়া, শাহাবাজপুর এলাকার জমির ফসল তলিয়েছে বেশি।
শিবগঞ্জ উপজেলার চাষি সাইদুর রহমান বলেন, বাড়ির পাশেই স্বপ্নের সোনার ধান অথৈ পানির নিচে। অনেক কষ্টে লাগানো প্রায় ৩ বিঘা জমির আমন ধান ডুবে গেছে।
কৃষক তহিদুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে প্রায় আড়াই বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি না থামলে আরও কয়েক বিঘা জমির ধানও তলিয়ে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি থেমে গেলে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি আরও বলেন, টানা বৃষ্টিতে প্রায় ৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল তলিয়ে গেছে। জমিতে বেশিদিন যেন পানি আটকে না থাকে সে ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ভোলাহাট উপজেলায়।