নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর-৪ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ক্লিন ইমেজ হিসেবে দেশব্যাপী রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আর এ জনপ্রিয়তার কারণে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একাধিকবার। দশম সংসদরে মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছেন তিনি। তরুণ ও যুব সমাজের অহংকার নিক্সন চৌধুরী। সকলের কাছে তিনি সুপরিচিত।
বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই তিনি এলাকাবাসীর জন্য কাজ করছেন। তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। শত্রুপক্ষ নিক্সন চৌধুরীকে রাজনীতির মাঠে পরাজিত করতে না পেরে এডিট করা অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ছেড়েছে। সম্প্রতি ফরিদপুর চরভদ্রাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে এমপি নিক্সনের ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সংবিধান একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিলেও সেটি এখানে উপেক্ষিত থেকেছে। দেশের টেলিযোগাযোগ আইনে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ফোনালাপের অডিও ফাঁস করে একজন এমপিকে হেয় করাটা অবশ্যই অন্যায় এবং জাতীয় সংসদকে অবমাননার শামিল। যারা এ কাজ করেছে শাস্তি তাদের পাওয়া উচিত। কারণ হাই কোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, রায় আছে সেখানে কারও ফোনের রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যাবে না।
দেশে যখন করোনা মহামারি চলছে তখন নিক্সন চৌধুরী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের খাবার, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করেন। ফরিদপুর-৪ সংসদীয় এলাকার তিন উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলেও নিজ হাতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা-খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তৈরি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল। যারা ফোন পেয়ে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন অসহায় মানুষের বাড়িতে।
এছাড়াও তিন উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক টানেল তৈরি করেছেন। নিজ অর্থায়নে সেনিটাইজার, মাস্ক, পিপিই ক্রয় করে প্রশাসন, পুলিশ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
আত্মীয়তার সূত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিরর রহমানের নাতি হন নিক্সন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর বড় বোন ফাতেমা বেগমের নাতি তিনি। নিক্সনের বাবা ছিলেন মাদারীপুরের শিবচরের সংসদ সদস্য। তার ভাই নূরে আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) এখন ওই আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইফ।
একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিক্সন চৌধুরী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার উন্নয়ন পরিকল্পনার সহযোগী হয়ে সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজে সহযোগিতা করে চলছেন। তিনি একজন সদালাপী, জনদরদি মানুষ। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।
গত বছর কুড়িগ্রামে ডিসি অফিসে নিয়ে সাংবাদিক আরিফকে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়েছে। জামালপুরের ডিসির গোপন ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় সেই ডিসিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতে আমরা দেখিনি। অথচ নিক্সন চৌধুরীর মতো একজন বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে অন্যায়ভাবে তার ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে হেয় করা হয়েছে। যদিও ওই অডিওর বক্তব্য তার নয় দাবি করে নিক্সন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার যে বক্তব্য ও কথা প্রকাশিত হয়েছে, এই বক্তব্য পুরোপুরিভাবে এডিট করা। সকাল ১১টার দিকে আমি টিএনওকে ফোন করেছিলাম যে, আমার একজন কর্মীকে মাঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়ার অপরাধে ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজিবি ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। সেই বিষয়টা অবগত করার জন্যই আমি ফোন করেছিলাম। আর যেটা ছড়ানো হয়েছে সেটা সুপার এডিট করা।
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে নিক্সন চৌধুরী সর্বমহলে পরিচিত। সুখে দু:খে মানুষের পাশে থেকে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এ কারণে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একাধিকবার। ষড়যন্ত্র করে নিক্সন চৌধুরীকে রুখা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইকবাল হোসেন মোল্লা বলেন, কোনোভাবে যদি কেউ অন্য কোনো ব্যক্তির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এবং মানহানি কিংবা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে তাহলে সেটি অপরাধের পর্যায়ে পড়বে। কারও অজান্তে ব্যক্তিগত তথ্য যদি কেউ কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং এটি যদি মানহানিকর হয় তাহলে এটিও অপরাধ। নিক্সন চৌধুরীর ব্যক্তিগত ফোনালাপ যারা ফাঁস করেছেন, তারা দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।