,

২১ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, ইউএনওর ওপর ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ধামরাইয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে দুটি কেন্দ্রের ২১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।

তবে এভাবে শিক্ষার্থীদের গণহারে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন শিক্ষকরা।

সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় ধামরাই উপজেলার কুশুরিয়া ইউনিয়নের কুশুরা ইউনিয়নের নবযুগ কলেজ কেন্দ্রে ২ জন ও যাদবপুর ইউনিয়নের যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ বলেন, ‘একে অপরের খাতা দেখা ও নকল করাসহ পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’

সাভারের আশুলিয়ার আলহেরা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের স্কুলের ৩৪ জন পরীক্ষার্থী যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরুর পরপর আমাদের স্কুলের দুইটা বাচ্চার খাতা দেখে লেখার অপরাধে চারজনকেই এক্সপেল (বহিষ্কার) করে। একই কেন্দ্রে মোট ১৮-১৯ শিক্ষার্থীকে এক্সপেল করেন ইউএনও। পরে জানতে পারি, কুশুরাতেও দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা বাচ্চার একই সমস্যা। কেন্দ্রে দেখা গেছে বাচ্চারা একটু দেখাদেখি করে। এই অপরাধে এক্সপেল করা কোনোভাবেই সম্ভব না। এখন তার ক্ষমতা আছে, সে প্রয়োগ করছে। আমাদের আসলে কিছু বলার নাই।

‘একটা বাচ্চারও কোনো এভিডেন্স পায় নাই যে তারা নকল করছে। এখন এক বাচ্চার সাথে যদি আরেক বাচ্চার খাতা মিলায়, তাহলে তো সব বাচ্চাই বহিষ্কার হওয়ার কথা।’

তিনি বলেন, ‘এটার একটা সুষ্ঠু তদন্ত দরকার, সে যেই হোক। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই ধরনের ব্যবহার আশা করা যায় না। তার পাওয়ার বা পদের সাথে বিহ্যাভিয়ারেরও একটা মিল থাকতে হবে।

‘বাচ্চারা যদি একজন আরেকজনের সাথে দেখাদেখি করে এটার জন্য ২০-২৫ মিনিট তাদের খাতা রাইখা দিতো। কিন্তু এক্সপেল করাটা কোনোভাবেই কাম্য না।’

এই বিভাগের আরও খবর