নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল শহরে স্ত্রীকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার জান্নাত আরা সেতু নামের ওই গৃহবধূকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্বামী সজিব মুস্তারি, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছে ওই গৃহবধূর পরিবার।
জানা গেছে, শহরের দুর্গাপুর মহিলা কলেজ এলাকার নজরুল বিশ্বাসের ছেলে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সজিব প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সাড়ে চার বছর আগে শহরের দক্ষিণ নড়াইল এলাকার হোসেন ইমামের মেয়ে সেতুকে বিয়ে করে।
সেতু অভিযোগে জানান, বিয়ের পর জানতে পারি স্বামী মাদকাসক্ত ও পূর্বের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। স্বামী দেশে এলে এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই নির্যাতন শুরু হয়। গত শুক্রবার গভীর রাতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে বেদম মারধর করে ও জোর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরলে দেখি মাথার চুল ও ভ্রু কাটা। বিষয়টি ফোনে বাবার বাড়ির স্বজনদের জানালে তারা ভোর রাতে পুলিশসহ এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত সজিব মুস্তারির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সজিবের ছোট ভাই সতেজ বলেন, ভাবির বাবা প্রায় ১৫ লাখ টাকা দেনা। ভাবি ভাইকে দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। ভাবিকে ফ্ল্যাট কিনে দিতে ও তার নামে ব্যাংকে টাকা রাখারও দাবি করত। এ ছাড়া ভাবি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন যুবকের সঙ্গে অনৈতিক যোগাযোগ রাখত। এসব নিয়ে ভাই-ভাবির মধ্যে কলহ চলছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ভাবি নিজের চুল কাটা শুরু করে। এর একাংশের ভিডিও আমার কাছে আছে। আমাদের বাসার গৃহকর্মী পলি তা দেখেছে। ভাইকে ফাঁসাতে এসব নাটক করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে সেতুকে স্বামীর বাড়ি থেকে মাথা ন্যাড়া অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয়। এ ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক। বিষয়টির তদন্ত চলছে।