জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের বিলদুড়িয়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শনিবার রাত ৮টার দিকে কালিয়া থানার আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ঘটনায় কালিয়া থানার এসআই আশিকুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেয়েটি এখন বাবার জিম্মায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নড়াইল জজ আদালতের এপিপি তারিকুজ্জামান লিটু।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, গত ২৭ অক্টোবর মেয়েটি অপহৃত হয়। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় জিডি করেন এবং এর কয়েক দিন পর নোয়াখালীর এক ট্রাকচালক মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার এসআই আশিকুজ্জামান ৫ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তিনি মেয়েটিকে কালিয়া থানায় না এনে নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যান। সেখানে তিনি মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আশিকুজ্জামান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়া থানা থেকে রওনা দিয়ে শুক্রবার সকালে আশুলিয়া থানায় পৌঁছেন তিনি। সেখান থেকে মেয়েটিকে নিয়ে রওনা দেন। তার এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ফেরার পথে নিজ বাড়ি মুকসুদপুরে যান তিনি। মেয়েটিকে গাড়িতে রেখে জুমা নামাজের পর জানাজা শেষ করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালিয়া থানায় পৌঁছেন। এ সময় গাড়িতে এক নারী ও এক পুরুষ কনস্টেবল ছিলেন।
এসআই বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সিসি টিভির ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে আমরা কখন রওনা দিয়েছি। উদ্দেশ্যমূলক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’