,

সেই সীমার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করা সেই সীমার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পাবনার চাটমোহর উপজেলা অফিসার (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার।

দারিদ্র্যতার কশাঘাতে জর্জরিত অসহায় পরিবারের মেয়ে সীমা ভালো ফল করেও যখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, ঠিক সেই সময় ইউএনও সরকার অসীম কুমার তাদের পাশে দাঁড়ান।

বুধবার দুপুরে সীমাদের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মা ও ভাইবোনের সঙ্গে কথা বলে তাদের কষ্টের কথা শোনেন এবং শুকনো খাবার তুলে দেন।

উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক ওয়াহাব প্রামাণিক ও গৃহিণী কোহিনূর বেগমের মেয়ে সীমা চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বাণিজ্যে বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে।

শুধু সীমাই নয়, তার বড় বোন শিখা খাতুনও ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুগান্তর অনলাইন সংস্করণে ‘ভালো ফল করেও সীমার চোখে অশ্রু’এমন শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়।

এ ছাড়া সীমার বড় বোন শিখা মানবিক বিভাগ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে। পড়াশোনা শেষ করে পুলিশ অফিসার হয়ে দেশের সেবা করতে চায় সীমা।

আর শিখা চায় নিজে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব দূর করতে। দারিদ্র্যতার মধ্যে ভবিষ্যতে দুই বোনের সেই স্বপ্নপূরণ হবে কিনা এমন শঙ্কা যখন অসহায় পরিবারটিকে তাড়া করছে, ঠিক তখনই ইউএনওর আশ্বাসে হাসি ফুটেছে অসহায় পরিবারের সবার মাঝে।

ইউএনও সরকার অসীম কুমার যুগান্তরকে বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অবশ্যই সীমা-শিখা এগিয়ে যাবে। তারা দুজনেই কৃতী শিক্ষার্থী। তাদের দুই বোনের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং তাদের স্বপ্নপূরণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

এ ছাড়া তাদের ভাঙাচোরা ঘর মেরামত এবং তার মাকে (কোহিনূর খাতুন) একটি সেলাইমেশিন উপহার দেয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অশ্রুসিক্ত নয়নে সীমার বাবা ওয়াহাব প্রামাণিক বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ হলে যে কাজ হয় আমি তার সাক্ষী হয়ে রইলাম। আমার মেয়েদের পড়াশোনা, বাড়িওয়ালির জন্য সেলাইমেশিনের ব্যবস্থা এবং ঘর মেরামতের ব্যবস্থা ইউএনও স্যার করবেন- এটি ভাবতেই অবাক লাগছে। দোয়া করি এমন স্যার (ইউএনও) যেন প্রতিটি ঘরে জন্ম নেয়।’

এই বিভাগের আরও খবর