বিডিনিউজ ১০ ডটকম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে করোনা ভাইরাসে সামনে থেকে চিকিৎসা সেবা দানকারীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন দেশটির কয়েক ডজন চিকিৎসক ও নার্স। শনিবার বিষয়টি জানিয়েছে অনশনে অংশগ্রহণকারীদের প্রধান।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সংকটে ভুগছেন। এ মাসের শুরুর দিকে কোয়েটা শহরে এসব সরঞ্জাম আরও বেশি সরবরাহ চাওয়ায় ৫০ জনেরও বেশি চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের করা হয়েছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত পাঞ্জাব প্রদেশে ইয়াং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইডিএ) জানায়, প্রথম শ্রেণির স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। দেশটি এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
কোভিড -১৯ এ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এবং নার্স মারা গেছেন। শনিবার রাষ্ট্র পরিচালিত হাসপাতালের ২৬ বছর বয়সী এক বিশেষজ্ঞ মারা যান বলে এএফপিকে এক কর্মকর্তা জানিয়েছে। যিনি কেবল তার চিকিৎসা পেশা শুরু করেছিলেন।
আন্দোলনের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে অভূক্ত রয়েছেন ডা. সালমান হাসিব। তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলন বন্ধ করবো না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে। কারণ সরকার দীর্ঘ দিন যাবত নিয়মিত বলে আসছে, তারা আমাদের দাবি মানবে না।
তিনি এএফপিকে বলেন, আমরা যারা সামনে থেকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি তারা যদি সুরক্ষিত না থাকি তাহলে গোটা জাতি ঝঁকিতে পরে যাবে।
খয়বর পাকতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ায় এক সরকারি হাসপাতালের পরিচালক এএফপিকে বলেন, শনিবার একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞও কোভিড-১৯ এ মারা গেছেন। ডাক্তারের মৃত্যুর পর করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন রাখার আহ্বান জানান তারা। দ্যা নিউজ।