বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধু নিপীড়নের মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিনের জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
শনিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৮ মার্চ ( সোমবার) রুহুল আমিনকে এক বছরের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান রুহুল আমিন।
গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা গ্রেফতার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন জামিন পাওয়ায় হতবাক হয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার পরিবার।
সেদিন রুহুল আমিনকে যেন জামিন দেয়া না হয় সেজন্য আদালতের কাছে তারা অনুরোধ জানায়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী সিরাজ মিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা হতবাক। কীভাবে তাকে হাইকোর্ট জামিন দিলেন আমরা জানি না। এর চেয়ে বড় কষ্টের আর কি আছে। এত বড় অপরাধী কীভাবে জামিন পেল?’
কারাগার থেকে রুহুল আমিন বের হলে তাদের জীবন সংকটে পড়বে আশংকা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, সে জেল থেকে ছাড়া পেলেতো আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। আমরা শেষ। কোথায় যাব, কার কাছে যাব আমরা? তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে।
সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আজ ধর্ষক রুহুল আমিনকে দেয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
চরজব্বর থানায় ওই নারীর স্বামীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘরে ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।