,

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুন-বিস্ফোরণ থামেনি, নিহত বেড়ে ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার একটি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ভোর পাঁচটা পযর্ন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০ টির অধিক ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। আহত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাত জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০ টি ইউনিট কাজ করছে। তবে কনটেইনার ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।

আগুনে বেশ হতাহতের আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এরই মধ্যে আহত প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।

মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ জরুরি বিভাগের সামনে রাখা হয়েছে।’

পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান আহত একজন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশেপাশের জেলা থেকে পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়। তবে বিস্ফারণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার কর্মীরা আশেপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। সাথে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।

রাত ১১টার দিকে ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হয়। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভোর পযর্ন্ত আগুন জ্বলতে দেখা গেছে ডিপোতে। কিছু সময় পর পর কনটেইনার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নূর নওশাদ জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভয়ে অনেকে মালামাল সরানোর চেষ্টা করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের ইউনিট কাজ করছে।’

তিনি  বলেন, ‘এ পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ৮-১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পর্যন্ত কোনো মরদেহ আমরা পাইনি। কনটেইনার ডিপোর কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করছে। কিন্তু মালিক পক্ষের কাউকেই পাইনি। কর্মীরা জানিয়েছেন কনটেইনারগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ ছিল।’

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আগুনের ভয়বহতার কারণে কনটেইনার ডিপোর ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। কেমিক্যালের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর