নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের গায়ে হাত দিলে কারও রক্ষা নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি সুস্থ রাজনীতি করলে আপত্তি নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের গায়ে হাত দিলে তাদের কারও রক্ষা নেই। মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। পুড়িয়ে হত্যা করে নয়।
রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন হুঁশিয়ারি দেন সরকারপ্রধান।
‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় তিন হাজার ৬০০ মানুষ বিএনপি-জামায়াতের হামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও উন্নয়ন চায় বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০১৩-২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে ওইসব হামলার ঘটনার নিহতদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে কথা বলেন সরকারপ্রধান।
অনুষ্ঠানে পেট্রোলবোমা হামলায় আহত ও নিহতদের স্বজনরা তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। পেট্রোলবোমা হামলায় আহত সালাউদ্দিন ভূইয়া সেদিনের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, আমি ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে একটি দোকানে কাজ করতাম। কাজ শেষে বাসা যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেই। সেদিন আমাদের গাড়ি যাত্রাবাড়ীতে পৌঁছলে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। সেই পেট্রোল বোমা হামলায় আমার মুখ ও হাত পুড়ে যায়।
সালাউদ্দিন বলেন, আমাকে দেখে কেউ কাজ দেয় না। আমার কাজ করার শক্তি আছে, কিন্তু কেউ কাজ দেয় না। আমার দুইটা ছেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের একটা কিছুর ব্যবস্থা করুন। আমি আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। আমাকে একটু কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।