,

সাত বছরেও ফেরেনি বাদল

বিডিনিউজ ১০, পঞ্চগড়: সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আশায় সাত বছর ধরে দিন গুনছেন পঞ্চগড় জেলা শহরের রাজনগরের ভ্যানচালক রুহুল আমিন ও মিনারা বেগম দম্পতি। ছেলে ইমাম হাসান বাদলকে (২৪) ফিরে পেতে যত রকম চেষ্টা করা সম্ভব তার সবই করেছেন, কিন্তু ছেলেকে ফিরে পাননি।

বাদলের বাবা রুহুল আমিন জানান, তাঁর ছেলে বাদল ঢাকার একটি শাটার ও জানালার গ্রিল তৈরির কারখানায় কাজ করত। তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় বসবাস করত। ২০১২ সালের ৫ মার্চ ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্ক থেকে র‌্যাব পরিচয়ে তাকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণস্বরূপ এক লাখ টাকা দাবি করে তারা। তিনি ৪০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ছেলেকে ছেড়ে দেয়নি অপহরণকারীরা। পরে ছেলেকে ফেরত পেতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে আবেদন করলে কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাবকে দেয়। র‌্যাব থেকে তদন্তের জন্য রংপুর ক্যাম্পে যেতে বলে।

বাদলের মা মিনারা বেগম বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে প্রতিদিন ছেলের অপেক্ষায় থাকি।’

ছয় মাস ধরে নিখোঁজ

পঞ্চগড় সদর উপজেলার বড় কামাত এলাকার তসলিম উদ্দিন (৫০)। ছয় মাস আগে একটি প্রতারকচক্রের কয়েকজন সদস্য তাঁকে ডেকে নিয়ে গুম করেছে বলে দাবি পরিবারের। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে জামিনও পেয়ে গেছেন। শুধু উদ্ধার হয়নি তসলিম। তসলিমের স্ত্রী ও সাত সন্তান এখন মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। সন্তানরা প্রতিদিন তার বাবার ফিরে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

তসলিমের স্ত্রীর করা মামলার পাঁচ আসামি হলেন বড় কামাত এলাকার দুলাল হোসেন (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), সুখদেবপাড়ার কাবিল হোসেন (৩৮), ছোট কামাত এলাকার মো. সালাম (৪০) এবং পুরাতন পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা-ইসলামপুরের আনোয়ার হোসেন (৫০)।

তসলিমের মেয়ে শাকিলা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা পথ চেয়ে থাকি আমার বাবা কখন ফিরে আসবে। কিন্তু আর আসে না। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আমার বাবাকে উদ্ধার করতে পারেনি। জানি না তিনি বেঁচে আছেন কি না।’

এই বিভাগের আরও খবর