,

‘সহিংসতা ছাড়া’ ভোটে অর্জন দেখছেন সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দায়িত্ব নেয়ার পর রংপুর সিটি করপোরেশনসহ অন্য নির্বাচনে তেমন একটা সহিংসতা না হওয়ার বিষয়টিকে অর্জন হিসেবে দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বছরের শেষে নিজেদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আসার পর যে কার্যক্রমগুলো আমাদের অধীনে আয়োজিত হয়েছে, আমি মনে করি আগের তুলনায় সহিংসতা অনেক কম হয়েছে। হয়ই নাই। হয়তো একবার একটা শিশু মারা গিয়েছিল, সেটা ভোটের পর। তো সহিংসতা না হওয়াটা ভাল দিক।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই ধারাটা যদি ধরে রাখতে পারি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত, ইতিবাচক দিক যেটা হবে, সাধারণ নির্বাচনেও মানুষ আগ্রহ সহকারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হবেন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটুকু আমরা আস্থাশীল হয়ে উঠছি।’

রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ধীরগতির প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম স্লো এটা সত্য, আঙ্গুলের ছাপ না মেলাটা এর বড় কারণ। তবে এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। ভোটের পর আমরা দেখব যে এখানে অস্বাভাবিক কোনো কারণে বিলম্ব হয়েছে কি না। তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’

সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গ: ভোটে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে ফ্যাশন করতে চান না বলে জানিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। নিজেদের প্রথম বড় ভোট কুমিল্লা সিটিতে এ যন্ত্রেই ভরসা রাখে তারা। তার পর থেকে সব ভোটে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানায় কমিশন।

গত অক্টোবরে গাইবান্ধা-৫ আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে ঢাকা থেকে মনিটরিং করে ভোট বন্ধ করে কমিশন। এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া আসনগুলোতে এ যন্ত্রের ব্যবহার না হওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইসি।

সিইসি বলেন, ‘বিএনপির ছেড়ে দেয়া ছয়টি আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব কি করব না, এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা সাধারণত সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব সে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। তবে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পক্ষে যদি যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকে, অর্থের অপচয় হবে কি না আমরা সে বিষয়টি মাথায় রাখব। আমরা এটি নিয়ে ফ্যাশন করতে চাচ্ছি না। এটা যেন অর্থ বহন করে, এটার যেন উপযোগিতা থাকে তা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেব।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি। তার মানে সুন্দরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বলে মনে হয়। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তা যারা আছেন, তারা সবাই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং প্রচুরসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

‘যদি অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে সেটা যেন মোকাবিলা করা যায় এ লক্ষ্যে। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। একটা জিনিস খুবই সুখকর, সেটা হচ্ছে, মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে সংযমের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অবস্থান করছে।’

এই বিভাগের আরও খবর