,

সন্ধ্যার পরও চলে স্পিডবোট

কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, দুই পারের লোকজনের মালিকানায় দেড় শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। এর মধ্যে কাজীরহাট এলাকার লোকজনের মালিকানায় রয়েছে ৭১টি স্পিডবোট। কাজীরহাট-আরিচায় প্রতিদিন মোট ২০টি স্পিডবোট চলাচল করে।

গত সোমবার স্পিডবোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাতটার দিকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছেড়ে যাচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষের লোকজন এরপর আর কোনো স্পিডবোটে যাত্রী তোলেননি। তবে ঘাটের একাধিক দোকানমালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাত্রী থাকলে রাত আটটার দিকেও স্পিডবোট ছেড়ে যায়।

সাঁথিয়া উপজেলার বাসিন্দা ও ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী লিয়াকত হোসেন সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্পিডবোটের যাত্রী হয়ে আরিচা যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে তিনি সন্ধ্যায় আরিচা থেকে রওনা হয়ে সাড়ে সাতটার কিছু আগে কাজীরহাটে আসেন। তাঁদের নামিয়ে দিয়ে স্পিডবোটটি যাত্রী বোঝাই করে আবার আরিচায় ফিরে যায়।

যাত্রীরা আরও বলেন, ঘাটে ১৮ ও ১২ আসনের দুই ধরনের স্পিডবোট চলাচলের জন্য রয়েছে। অথচ এগুলোতে দু-তিনজন যাত্রী বেশি তোলা হয়। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার ব্যাপারে যাত্রীরা আপত্তি করলে তাঁদের সঙ্গে চালকেরা দুর্ব্যবহার করেন। এ ছাড়া প্রত্যেক যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তাঁদের তা দেওয়া হয় না। অনেক যাত্রী চেয়েও লাইফ জ্যাকেট পান না।

কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোট মালিক সমিতির তত্ত্বাবধায়ক হায়দার আলী দাবি করেন, তাঁদের শেষ স্পিডবোটটি কাজীরহাট থেকে মাগরিবের আজানের আগেই ছেড়ে যায়। এরপর কোনোভাবেই আর কোনো স্পিডবোট চলে না। তবে আরিচা থেকে মাগরিবের আজানের আগে যে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে, সেটি যাত্রী নামিয়ে দিয়ে খালি অবস্থায় আবার আরিচায় ফিরে যায়। স্পিডবোটে একজন যাত্রীও অতিরিক্ত বহন করা হয় না। প্রতিটি বোটে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট আছে। যাত্রীদের তা পরার জন্য অনুরোধ করা হলেও কেউ নিতে চান না।

নগরবাড়ী নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর স্পিডবোট চলাচলের ব্যাপারে অভিযোগ তাঁরাও পেয়েছেন। তিনি ২৪ মে ঘাটে গিয়ে এ ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করে এসেছেন। এরপরও যদি রাতে স্পিডবোট চালানো হয় বা অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয়, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর