,

শুক্রবার পর্যন্ত ঝরবে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বছরের এই সময়ে বৃষ্টিপাতের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসা মৌসুমি বায়ু। আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বাড়ায় গত দুই দিনে বৃষ্টি কিছুটা বেড়েছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা বেশি থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অনেক অঞ্চলেই বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে কেটেছে ভ্যাপসা গরম।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কমতে পারে গরমের অনুভূতি। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধসের সতর্কতাও বহাল রেখেছে অধিদপ্তর।

সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তিন সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবারের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বুধবার রাতে বলেন, ‘মূলত মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বৃষ্টি বাড়ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তা আরো বেড়ে সারা দেশেই ছড়াতে পারে। শুক্রবারের মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপও সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ হলে পরে এর প্রভাবেও বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে।’

কাজী জেবুন্নেছা বলেন, ‘বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি ও পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলেরে দিকে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকাতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃষ্টি দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই ছড়াতে পারে।  তবে দেশের উত্তরের বিভাগ রংপুরে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম থাকতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বৃষ্টি। সার দেশে তাপমাত্রা কমে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতিও কমতে পারে।’
এদিকে, রাজধানীতে সারা দিনই বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে অনুভূত হচ্ছিল অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম। তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় বৃষ্টি নামলে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরে ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের অন্তত ৩২টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি অনেকটাই বেশি ছিল। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ৯০ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে এটি অতি ভারি বৃষ্টিপাত (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি)।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.৫ ডিগ্রি।

এই বিভাগের আরও খবর