2. অপরাধ, ঢাকা, দেশজুড়ে
3. শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

1. নিউজ ডেস্ক


2. প্রকাশের সময় May, 16, 2023, 4:50 pm

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় চিন্ময় বসু নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।

চিন্ময় বসু উপজেলার ৯৭নং কান্দি বানিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের চন্দ্রকান্ত বসুর ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, চিন্ময় বসু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন ছাত্রীকে কাছে ডেকে নিয়ে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। এ ঘটনা ওই সকল ছাত্রী তাদের অভিভাবকদের জানালে তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা হালদারসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাবেয়া সুলতানাকে জানান। অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রধান শিক্ষক শিখা হালদার শিক্ষক চিন্ময় বসুকে তিন দিনের ছুটি প্রদান করেন।

এদিকে চিন্ময় বসুর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি এই বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ওই সকল ছাত্রীর অভিভাবকরা তাদের মেয়েদেরকে বিদ্যালয় পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন।

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, চিন্ময় বসু প্রতিদিন পাঠদানের সময় আমাদের এক এক জনকে কাছে ডেকে নিয়ে আমাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। এ কারণে আমরা কয়েকজন ছাত্রী পিছনের বেঞ্চে গিয়ে বসতাম। স্যার সেখানে গিয়েও আমাদেরকে জড়িয়ে ধরতেন। স্যারের হাত থেকে রক্ষার জন্য কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক অভিভাবক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাচ্ছিল না। তার কাছে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে সে চিন্ময় বসুর কু-কর্মের কথা আমাকে জানায়। আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষক শিখা হালদারকে জানাই। তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে চিন্ময় বসুকে ছুটি প্রদান করেন। ওই শিক্ষকে বিদ্যালয় থেকে বদলি না করা পর্যন্ত আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠাব না।

এ বিষয়ে জানার জন্য বিদ্যালয়সহ শিক্ষক চিন্ময় বসুর বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রধান শিক্ষক শিখা হালদার বলেন, বিষয়টি আমি বিভিন্ন অভিভাবকদের কাছ থেকে জানার পরে শিক্ষক চিন্ময় বসুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। চিন্ময় বসু ঘটনাটি মিথ্যা বলে আমাকে জানিয়েছেন। তিনি ছাত্রীদেরকে আদর করে পড়া বুঝিয়ে দিতেন বলে জানিয়েছেন। চিন্ময় বসু আমার কাছে ছুটির আবেদন করলে তাকে তিন দিনের ছুটি প্রদান করি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষক বলেন, চিন্ময় বসু এখানে যোগদানের পর থেকেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের গায়ে কারণে-অকারণে হাত দিতেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি চিন্ময় বসুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এদিকে, গত রোববার চিন্ময় বসুর বিদ্যালয়ে যোগদান করার কথা থাকলেও আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি বিদ্যালয়ের যোগদান করেননি।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাবেয়া সুলতানা বলেন, চিন্ময় বসুর কু-কর্মের কথা পঞ্চম শ্রেণির অনেক ছাত্রীর অভিভাবকই আমাকে জানিয়েছেন। আমরা তার বদলিসহ শাস্তি দাবি করছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষক চিন্ময় বসুর বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি। বিষয়টি আমি জেনে সত্যতা পেলে চিন্ময় বসুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই বিভাগের আরও খবর

•   কলেজে নেই শিক্ষক, অথচ হাজিরা খাতায় আছে স্বাক্ষর!
•   বিভাগীয় কমিশনারের সাথে কাশিয়ানীর কর্মকর্তাদের মতবিনিময়
•   চুরির অভিযোগে একজনকে ‘পিটিয়ে হত্যা’
•   এক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ১২ জন!
•   টেকনাফে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা
•   বাসায় ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণের অভিযোগ’ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে
•   ৫ মাস বেতন বন্ধ: ‘অর্থকষ্টে’ কাশিয়ানীর ৩৭ স্বাস্থ্যকর্মী
•   মাদারীপুরে দীপ্ত টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
•   ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে নিয়োগ, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
•   রাতের আধাঁরে ‘সরকারি জমিতে ঘর’, গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন