,

লোহাগড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণ না দাবিতে প্রতিবাদ সভা

শরিফুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরকালনা গ্রামে তিন ফসলি জমি ও জনবহুল এলাকায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণ না করবার দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে চরকালনা গ্রামবাসী এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।

লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, শিক্ষক মফিজুর রহমান, ইউপি মেম্বর গোপাল চন্দ্র বসু, মোঃ আকরাম হোসেন, ওয়ালিয়ার রহমান প্রমুখ।

জানা গেছে, লোহাগড়া ইউনিয়নের মধুমতি নদী ভাঙ্গন কবলিত চরজাজিরা-কালনা জনপদটি অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর। কৃষিকাজ ও দিনমজুর শ্রেণির বেশি মানুষ এখানে বসবাস করে। মধুমতি নদীর পলিবেষ্টিত তিন ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন করে গ্রামবাসীরা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কালনাঘাট পয়েন্টে কালনা সেতু ও রেল সেতু সহ রেললাইন ও মহাসড়ক নির্মাণ করায় ইতিমধ্যে অনেক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এলাকার হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে।

কালনা সেতুর পশ্চিমপাশের্^ সিএস, আরএস ও এসএ রেকর্ডীয় ৪৪ নং চরজাজিরা কালনা মৌজার অবস্থান। ওই অবস্থানসহ পশ্চিমে সিএস ও এসএ রেকর্ডীয় ৮২ নং কালনা মৌজায় তিন ফসলি জমি ও জনবহুল এলাকায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। গত ২৮ ডিসেম্বর উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাসহ লোহাগড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই এলাকা পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীদের জানান, সরকার ৮২নং কালনা মৌজা ও ৪৪ নং চরজাজিরা কালনা মৌজায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে ছয় শতাধিক দরিদ্র পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কয়েক হাজার একর তিন ফসলি জমি নষ্ট হবে। তাই অন্যত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হোক।

লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন উপযুক্ত স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার নজরুল ইসলাম এলাকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে আরো ভাল অবস্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি জানান।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখী ব্যানার্জী বলেন, সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমরা ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব পর্যায়ে বিষয়টি এখনো যায়নি। মানুষ যাতে কম ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর