সিলেট ব্যুরো: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারে মিয়ানমারকে অবশ্যই সেই ব্যবস্থা করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের ঐতিহাসিক ক্বীন সেতু পরিদর্শনের সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সোমবার দু’দিনের সফরে সিলেটে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শেষে ঢাকায় ফেরার আগে অনির্ধারিতভাবে সিলেটের ঐতিহাসিক ক্বীন সেতু পরিদর্শনে যান। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রবার্ট মিলার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের দেশে এসব মানুষকে নিরাপদ এবং সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে নিতে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র প্রধান দাতা হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
তিনি বলেন ‘আবারও বলছি মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশের সঙ্গেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।’
এর আগে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ক্বীন সেতুর উত্তর পাড়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে সেতুর দক্ষিণ পাড় পর্যন্ত ঘুরে দেখেন। এ সময় সেতুতে আলী আমজদের ঘড়ি দেখে মুগ্ধ হন। বলেন, ক্বীন সেতুর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে আলী আমজদের ঘড়ি। এসময় ঘড়ির সায়রনের শব্দ রাষ্ট্রদূতকে মুগ্ধ করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ক্বীন সেতুর মেরামত কাজ চলছে শুনে দেখতে এসেছি। ক্বীন সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া ও এর সৌন্দর্য বাড়ানোর পদক্ষেপে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, এটি অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে লম্বা পায়ে হাঁটার সেতু। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ব্রিটিশ আমলে তৈরি ক্বীন সেতুটি ঐতিহ্যবাহী সেতু। তিনি সেতুর দুই পাশ ঘুরে দেখেন।
তিনি এসময় সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে তার সরকারের সহায়তার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও সরকারের যুগ্ম-সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী শামছুল হক পাঠোয়ারীসহ সিসিকের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।