বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা করার প্রস্তাব করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। অবশেষে অনেক নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পরিবর্তে রওশন এরশাকে ওই পদ দেয়ার জন্য রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।
এর আগে, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা কে হবেন তা নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) দু’পক্ষের বিরোধ চরমে পৌঁছায়। এ নিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে পাল্টাপাল্টি চিঠিও দেয় দু’পক্ষ।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করার জন্য আজ (গতকাল) স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আমাদের দলের ২৫ জন এমপি স্বাক্ষর করেছেন। আমরা সর্বসম্মতভাবেই এই চিঠি দিয়েছি বলে জানান তিনি।
রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে দলটির সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ও ফখরুল ইমামসহ কয়েকজন রওশনকে চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করার জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বরাবর চিঠি দেন। এমনকি চেয়ারম্যান হিসেবে রওশনের নাম দিয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি পাঠান তারা।
অন্যদিকে, কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাসহ প্রায় ১৪-১৫ এমপি জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার তৎপরতায় উঠেপড়ে লাগেন।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দ্বন্দ্ব নিরসনে রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে রওশন ও জিএম কাদেরের পক্ষের নেতারা দীর্ঘ বৈঠক করেন। শেষে সমঝোতায় উপনীত হন দুই প্যানেল।
বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় আবারও বিরোধী নেতা হচ্ছেন জাপার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদ। আর আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদের। কাউন্সিলে দলের নেতৃত্ব ঠিক হবে। ওই বৈঠকে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা উভয়পক্ষে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।
বৈঠকে রওশনপন্থি নেতাদের মধ্যে ছিলেন- দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম ও এস এম ফয়সল চিশতী। আর জিএম কাদেরপন্থী নেতাদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়্যদ আবু হোসেন বাবলা ও লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী।