তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন যুবক গত ১৬ নভেম্বর বরাটিয়া গ্রামে গোয়াতলা গার্লস হাইস্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
থনায় অভিযোগ দেওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকিতে মেয়েটির পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও তাদের ভাষ্য।
মেয়েটির চাচা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৬ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে তাদের বসত ঘরে ঢুকে তার ভাতিজীকে একই গ্রামের রাসেল মিয়া, শরিফুল ইসলাম ও জিয়াউর রহমান ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় তার ভাতিজির চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে ওই যুবকরা তাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে স্কুলে যাওয়ার পথে রাসেল তার ভাতিজীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো ধর্ষণের চেষ্টাকারীদের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী বলেন, ছোটকালে বাবা মারা যাওয়ার পর তার ছোট বোন নিয়ে মা অন্যত্র বিয়ে করেন। তিনি কাকাদের কাছে থেকে পড়াশোনা করছেন।
স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মাঝেমধ্যেই রাসেল তাকে রাস্তায় গতিরোধ করে কাপড় ধরে টানা-হেঁছড়া করত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওইদিন রাতে পড়াশোনার এক পর্যায়ে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হওয়ার সময় রাসেল ও তার সহযোগীরা চাকু ধরে ভয় দেখিয়ে কাপড় খুলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ওই সময় তার আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে রাসেল তাকে চোখে চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। কারও কাছে তাদের নাম বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় তার ঠিকমতো পড়াশোনাও হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রাসেল মিয়া, শরিফুল ইসলাম ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর বলেন, “স্কুলছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার পরিবার আমার কাছে এবং ধোবাউড়া থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”