সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মোটরসাইকেল চাপায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া তানজিনা বেগম (১০) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে।
নিহত স্কুল ছাত্রী উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রজনীলাইন গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় রজনীলাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করেন।
বুধবার রাতে নিহতের পিতা আলী হোসেন জানান, নিজ বাড়ি থেকে তানজিমা বেগম মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাবার পথে রজনী লাইন মসজিদের সম্মুখ সড়কে বড়ছড়া থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল তানজিনাকে চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করে। মোটরসাইকের চালক একই এলাকার বুরুঙ্গাছড়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে সালাম মিয়া মোটর সাইকেল দিয়ে চাপা দিয়ে ঘটনাস্তল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তানজিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ওই দিন দুপুরেই চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার লোকজনের অভিযোগ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, দিরাই, ধর্মপাশা সহ প্রত্যন্ত বেশ কয়েকটি উপজেলায় ভাড়ায় চালিত কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেল চালকের একদিকে যেমন নেই ড্রাইভিং ল্ইাসেন্স তেমনি অধিকাংশ মোটর সাইকেলের নেই রেজিষ্টেশান। এছাড়াও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকরাও ভাড়া কিংবা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া গতিতে কাঁচা পাকা সড়কে দাপিয়ে বেড়ান। এসব কারনে সড়কে প্রায়ই মোটরসাইকেল চাপায় অনাকাংখিত দুর্ঘটনায় সাধারন পথচারী, স্কুল শিক্ষার্থী, যাত্রীরাও মাঝে মাঝে মুত্যুর মিছিলে শরিক হলেও সংম্লিস্ট থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর নজর এড়িইে চলছে রেজিষ্টেশান ও ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট বিহিন মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়াপণা ।
বৃহস্পতিবার তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি থানায় পুলিশকে জানানো হয়নি।