ধর্ষণ সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী।
তসলিমা বলেন, ধর্ষণের জন্য সব জায়গায় নারীকেই দোষারোপ করা হয়। বিশেষ করে তারা কিভাবে পোশাক পরে, লোকজনের সঙ্গে কেমন আচরণ করে। কিন্তু ধর্ষণ মূলত পুরোপুরি পুরুষের সমস্যা। তিনি বলেন, পুরুষদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মাধ্যমেই ধর্ষণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা না করায় উপমহাদেশের সরকারগুলোর সমালোচনা করেন এই লেখিকা। এমনকি পতিতাবৃত্তিকেও অনেক বেশি হিংস্র এবং কম যৌনতার বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তসলিমা বলেন, অধিকাংশ পুরুষই নারীকে যৌন বস্তু, দাসী এবং সন্তান উৎপাদনের মেশিন মনে করেন। নিজেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে কোন দাসীকে পাওয়া পুরুষদের জন্য মোটেও ভালো কিছু না।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে, তারা যদি নিজেদের সমকক্ষ কোন জীবনসঙ্গী পেত তবে তারা আরও বেশি সুখী হতো। মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ধর্ষণ কমানো সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।