,

‘বেড়িবাঁধ ভাঙলে আমরা কই যামু?’

জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর: নদীভাঙন ঠেহাতে সরহার বেড়িবাঁধ দিছে। মেলা দিন অইলো। ঢল আইলে ভাঙ্গে। এইবার ঢলে বেড়িবাঁধ মেলাখানিক ভাঙছে।

এডা ভাঙলে বাড়ি-ঘর নদীতে ডুববো। অহন আমরা কই যামু? কথাগুলো বলছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আয়নাপুর গ্রামের কৃষক আজগর আলী।

ভাঙলে বাজারডাও নদীতে ভাইঙ্গা যাবো। এইহানের দুইডা স্কুল, এডা মাদরাসা, মেলা ঘরবাড়ি। সব ভাইঙ্গা পড়বো। অহন বাঁধ ঠিক না করলে এডারও রক্ষা নাই। আজ শুক্রবার সরেজমিনে গেলে তাদের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা এভাবেই তুলে ধরেন সোমেশ্বরী নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙনের চিত্র।

স্থানীয়রা জানান,  ভারত থেকে নেমে এসেছে সোমেশ্বরী নদী। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলে দেখা দেয় নদীভাঙন। এতে নদীতে ডোবে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি। ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়ে আয়নাপুরে নদীর পাড়। ভাঙনের কবলে পড়ে আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাচনমহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আয়নাপুর ও নাচনমোহরি গ্রাম। এই ভাঙন ঠেকাতে দাবি তোলেন এলাকাবাসী। ২০১৪ সালে ভাঙনকবলিত স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলজিইডি। ২০১৬ সালে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় সেই বাঁধের উজানের  প্রায় ১০০ ফুট। পরবর্তী সময়ে সংস্কার হয়নি সেই ভাঙা অংশ। ফলে প্রতিবছর ওই ভাঙা অংশ আরো ভাঙে  একটু একটু করে। সম্প্রতি দেখা দেয় দুই দফা পাহাড়ি ঢল। এতে আবারও দেখা দেয় ভাঙন। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আয়নাপুর বাজারসহ ২টি গ্রাম। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন  আয়নাপুর ও নাচনমোহরি গ্রামের শত শত মানুষ।

কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধটি সংস্কার হয়নি। এ জন্য ভাটি এলাকার শত শত মানুষ নদীভাঙনের আশঙ্কা করছে। দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসীরা।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, আমি নতুন যোগদান  করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর