বিডিনিউজ ১০, শিক্ষা ডেস্ক: বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আন্দোলনে নামবেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। চার দফা দাবিতে তারা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার রাতে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরারের জানাজার পর বিক্ষোভ শেষে আন্দোলন করার ঘোষণা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বুয়েট ক্যাম্পাস। নিহত শিক্ষার্থীর হত্যার বিচারে দাবিতে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল থেকে আবরার মরদেহ বুয়েট ক্যাম্পাসে আনা হয়।
এরপর রাত ১০টার দিকে পরিবারের স্বজন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের উপস্থিতিতে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিতে জানাজা পড়ানো হয়। পরে বুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনরা আবরার মরদেহ কুষ্টিয়াতে দাফন করাতে নিয়ে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, আবরার জানাজায় পরিবারের সদস্যরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
জানাজার পর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সামনে শিক্ষার্থীরা সমাবেত হয়ে খুনিদের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ সৃতি হল, কেন্দ্রীয় মসজিদ, তিতুমীর হল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলসহ কয়েকটি হল প্রদক্ষিণ করে তারা বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।
সমাবেশে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। এরপর সমাবেশ শেষ করে তারা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বুয়েট শিক্ষার্থী জানান, আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে চার দফা দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করবে। দাবিগুলোর মধ্যে- আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিণষ্কার, খুনিদের মামলার সকল ব্যয় প্রশাসনকে বহন ও আবরার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও বুয়েট শিক্ষার্থীর হত্যার পরও ভিসি কেন ক্যাম্পাসে আসেনি তার কারণ দর্শানোর দাবি তোলা হবে।
তবে দাবিগুলোর এখনো ঘোষণা করা হয়নি। কাল বিক্ষোভ শেষে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা দাবিগুলো ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান।
তারা বলেন, সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা একযোগে এ আন্দোলনে নামবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থীদের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হবে। তীব্র প্রতিবাদের মাধ্যমে বুয়েট প্রশাসনকে দাবি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে বলেও জানান তারা।