জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিয়ে ভাঙার সন্দেহে দুই নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মা ও ছেলের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এমন অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম পাড়া গ্রামের সুভাষ সরকারের স্ত্রী রঞ্জু সরকার (৩৫) ও তার ছেলে সুকান্ত সরকারের (১৭) বিরুদ্ধে।
আহতেরা হলেন, একই গ্রামের জ্যোতির্ময় ব্যাপারীর মা মাধুরী বেপারী (৭০) ও তার স্ত্রী সুনীতি বেপারী (৪৫)। তারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন।
মারধরের শিকার সুনীতি বেপারী বলেন, ওই গ্রামের সুভাষ সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকারের (১৭) বিয়ে ঠিক হয় কোটালীপাড়া উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে।
কিন্তু সুকান্তÍ মাদকাসক্ত গ্রাম থেকে জানতে পেরে মেয়ে পক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। আমার ছেলে সুমন বেপারী গোপালপুর কিশোর কিশোরী ক্লাবের পিআর লিডার হওয়ায় সুকান্তের মা রঞ্জু সরকার সেই থেকে আমাদের দোষারোপ করে আসছেন। এছাড়া আমাদের পরিবারের দেখলেই অকথ্য ভাষায় বকাঝকা করেন সুকান্তের মা।
তিনি আরও বলেন, পরে বুধবার সকালে বাড়ির পাশে গোবর আনতে গেলে সুকান্তের মা রঞ্জুর ছেলের বিয়ে ভাঙার অভিযোগে বকাঝকা করেন। কিছুক্ষণ কথাকাটাকাটির পরে আমি গোবর না নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় আমাকে মারধর শুরু করে রঞ্জু। তখন আমি তাকে ঠেলে ফেলে বাড়িত পালিয়ে যাই। পরে সুকান্ত ও তার মা রঞ্জু আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে কাঠ দিয়ে পেটানো শুরু করে। আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে জানতে সুকান্তের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-সজল সরকার