,

বিচারকের নামে স্ত্রীর নির্যাতন মামলা

রংপুর ব্যুরো: রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-২-এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের নামে স্ত্রী হৃদিতা সরকারের যৌতুকের কারণে নির্যাতনের অভিযোগ মামলা হিসেবে নিয়েছে আদালত।

শুনানি শেষে রোববার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১-এর বিচারক মোস্তফা কামাল মামলাটি নেন।

এ সময় বাদী হৃদিতা সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিক হাসনাইন।

তিনি বলেন, ‘হৃদিতা সরকার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার জবানবন্দি নিয়েছে আদালত। আমরা মামলা গ্রহণের আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে।’

এর আগে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামানের আদালতে মামলাটি গ্রহণের আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী রফিক হাসনাইন। তবে দুই দফা শুনানি পিছিয়ে যায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম তুহিন নিউজবাংলাকে বলেন, মামলাটি রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১-এর। ওই আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় দুই দফা আবেদন শুনানি পিছিয়েছিল।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১১ মে চিকিৎসক হৃদিতা সরকারের সঙ্গে বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের আসরেই ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন দেবাংশু ও তার পরিবারের লোকজন। তাৎক্ষণিক বিয়ে ভাঙার উপক্রম হয়। তবে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই নতুন গাড়ি কেনার জন্য আবারও যৌতুক দাবি করে নানা ধরনের চাপ দিতে থাকেন দেবাংশু। এর জেরে বিভিন্ন সময় তাকে (হৃদিতা) নির্যাতন করা হয়। এরপর হৃদিতা তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে চলে যান।

এর মধ্যে জানতে পারেন দেবাংশু দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বিষয়টি প্রধান বিচারপতি, সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর