সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বাবার স্বপ্ন ছিল ঘোড়ার পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাবে ছেলে। কথা শুনে খামখেয়ালি মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা রঙ্গারচর ইউনিয়নের সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.বাচ্চু মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়েকে নিয়ে তার সাজানো সংসার। স্বপ্ন ছিল তার বড় ছেলে মো.মনির হোসেনকে পালিত ঘোড়া রাজার পিঠে বসিয়ে বর সাজিয়ে কনের বাড়িতে যাবেন। সেই স্বপ্ন বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সত্যি করলেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বাচ্চু মিয়ার বড় ছেলে মো.মনির হোসেনের বিয়ে হয় বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মরম আলীর মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ি নৌকায় যেতে প্রায় ২০ মিনিট লাগে। কিন্তু বাবার স্বপ্ন সত্যি করার জন্য ৮০ জন বরযাত্রী নিয়ে বর ঘোড়ায় চড়ে কানলার হাওরের মেঠোপথ দিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে।
বরের বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, আমার ছেলে যখন ছোট ছিল তখন থেকে আমি স্বপ্ন দেখতাম ছেলেকে ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে বর সেজে কনের বাড়িতে যাবে, আর আমরা সেই ঘোড়ার পিছনে পিছনে সবাই হেটে যাবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন হয়েছে। সত্যি আমি খুব আনন্দিত।
বর মো.মনির হোসেন জানান, আমার বাবার ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন ছিল আমাকে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে কনের বাড়িতে নিয়ে যাবেন। সেই জন্য তিনি একটা ঘোড়া পালতে থাকেন। তার নাম দেওয়া হয়েছে রাজা, আমি সেই রাজার পিটে চড়ে আজকে বর সেজে কনের বাড়িতে গিয়েছি। আমার ভালো লাগছে।