নিহত রিপন হাওলাদার (৩৮) বামনা উপজেলার সোনাখালী গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে এবং সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রিপনের মা রিজিয়া বেগমের কাছে খবর পেয়ে তার বাড়ির একশ গজ দূরে একটি বাগনের একটি ডোবা থেকে সোমবার সকাল ৭টার দিকে রিপনের লাশ তারা উদ্ধার করেন বলে বামনা থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান জানান।
রিজিয়া বলেন, তার ছেলে ইজিবাইক চালক ছিলেন। রোববার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে সড়কের পাশে তার ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দিতে আসে। কিন্তু ওই সময় সে বাড়িতে ঢোকেনি।
সোমবার সকালে একটি ভাড়া নিয়ে রিপনের ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে ওই যাত্রীরা রিপনের মোবাইলে ফোন করে না পেয়ে তার বাবার মোবাইলে ফোন দেয়।
“পরে রিপনের কোনো ঘরে গিয়ে তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির পেছনে একটি বাগানের ডোবার মধ্যে ছেলের জুতা ভাসতে দেখি। পরে ডোবায় রিপনের তার লাশ ভেসে উঠে।”
রিজিয়ার অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাড়ির পিছনে ডোবায় পুঁতে রাখে।
রিপনের ছোট ভাই সেলিম হাওলাদার বলেন, তার চাচা চাঁন মিয়া হাওলাদার, সহিদ হাওলাদার ও সৎ ভাই ইলিয়াস হাওলাদারের (৪২) সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় ইলিয়াস ও চাচাদের আসামি করে আগে একটি মামলাও হয়েছিল।
“সেই মামলায় ইলিয়াস কয়েকদিন আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বরগুনা জেলা কারাগারে ছিলেন। পরে গত রবিবার সে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল।”
রিপন বলেন, ঘটনার দিন রাতে তার বড় ভাই অটোরিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে যায়। পরে সে ঘরে ফিরছে কিনা তা তিনি জানেন না।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বামনা থানায় মামলা হয়েছে, তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে ওসি মাসুদুজ্জামান জানান।