নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩৬৫ দিনের আনন্দ-বেদনা, গল্পগাথা নিয়ে বিদায় নিয়েছে ২০২২ সালের শেষ সূর্য। সেই বিদায়ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছিল নানা বয়সের মানুষ।
শনিবার বিকেলে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সূর্যাস্তের সময় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে রাত পোহালেই শুরু হবে নতুন বছরের পথচলা। ৩৬৫ দিনের সফলতা-ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর আহ্বানে ৩১ ডিসেম্বর রাতে পালন করা হয় থার্টিফার্স্ট নাইট বা বর্ষবরণ উৎসব। নতুন বছরে সবার প্রত্যাশা ২০২২ সাল যেমন সবাই মিলেমিশে কাটিয়েছে সেভাবে কাটুক ২০২৩।
সৈকতের বালুচরে আসা দর্শনার্থী সামিহা জান্নাত বলেন, ‘শনিবারের এই সূর্য পশ্চিম আকাশে ডুব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদায় হবে ঘটনাবহুল ২০২২ সাল। স্মৃতি হয়ে যাবে আরও একটি বছর। রোববার পথচলা শুরু হবে ২০২৩ সালের। এ বছরের বিদায়ী সূর্যের বিকিরণ দেখতে আমরা বন্ধুরা মিলে সৈকতে এসেছি। আমাদের প্রত্যাশা নতুন বছর যেন সংকট মুক্ত হয়।’
সৈকতে ঘুরতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘মনে করেছিলাম, নতুন বছরকে বরণে বড় কোনো আয়োজন থাকবে। কিন্তু আসার পর সবকিছু ম্লান হয়ে গেছে। যদিও বিকেলের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে পেয়ে ভালো লেগেছে। বন্ধুরা মিলে এ বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় দিতে পেরেছি।’
বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় রাজশাহী থেকে এসেছেন সাজ্জাদ মাহমুদ ও নাবিলা দম্পতি। তারাও হতাশ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র নগরীতে এসে। আক্ষেপ নিয়ে তারা বলেন, ‘এত বড় এবং আলোচিত পর্যটন স্পট। কিন্তু থার্টিফার্স্টের কোনো আয়োজন নেই। বিশ্বের অনেক ছোট পর্যটন কেন্দ্রেও বড় বড় অনুষ্ঠান থাকে। আমরা এসেছিলাম সৈকতে কোনো কনসার্ট বা উৎসব এ জাতীয় কিছু হবে, ভেবে।’
এদিকে নতুন বছরের আয়োজন না থাকা নিয়ে জেলা প্রশাসন বলছে, করোনা মহামারি আর রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বেশ কয়েক বছর সৈকতে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন হয়নি। এবারও কক্সবাজারে থাকছে না কোনো আয়োজন। তবে, নিয়মরক্ষায় তারকা হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইনডোর প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। হোটেলের অতিথি, বিদেশি পর্যটক ও বিশেষ মেহমান ছাড়া এসব অনুষ্ঠানে অন্যদের যোগ দেয়ার সুযোগ নেই।’
থার্টিফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আউটডোর আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।