,

ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, কোটালীপাড়ায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি করার অভিযোগে বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
গত রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের উত্তর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আবির অধিকারী (অনরৎ অফযরশধৎু) তার ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি করে। এটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পাশ্ববর্তী বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলাগ্রামসহ আশপাশের এলাকার মুসলমানরা একাত্রিত হয়ে আবিরদের বাড়ির মাখন লাল অধিকারী, পলাশ অধিকারী ও সন্তোষ অধিকারীর বসতঘর ভাংচুর করে। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আবির অধিকারী (২৫) উত্তর কান্দি গ্রামের অনাদী অধিকারীর ছেলে। তবে সে ৭বছর আগে ভারত চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আবির অধিকারীর চাচাতো ভাই রঞ্জন অধিকারী বলেন, ৭ বছর আগে কান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আবির অধিকারী এসএসসি পাশ করে ভারত চলে যায়। ৩মাস আগে আবিরের মা ও ভাই বোন এবং ১সপ্তাহ আগে তার বাবা অনাদী অধিকারী বাড়ি ঘর, জমিজমা বিক্রি করে ভারত চলে গেছে।
আবির অধিকারীর আরেক চাচাতো ভাই সৌরভ অধিকারী বলেন, আবির অধিকারী ফেসবুক কি লিখেছে তাহা আমরা জানিনা। রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ৪/৫শত লোক এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এই বাড়িতে আমরা ৫টি পরিবার বসবাস করছি। আমরা এখন আতঙ্কে রয়েছি।
কোটালীপাড়া ওলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক বশির বিন সামসুদ্দিন বলেন, আবির অধিকারী তার ফেসবুকে আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে তাহা সত্যিই নিন্দনীয়। পক্ষান্তরে আবির অধিকারীর বাড়ির ৩টি পরিবারের উপর যে হামলা হয়েছে তাহা একজন মুসলিম হিসেবে আমি সমর্থন করিনা। তবে আমি আবির অধিকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে আবির অধিকারী ভারতে থাকার কারণে আপাতত তার বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর