বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৪০ মিনিট থেকে কুয়াকাটায় ঝড়ো হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রভাব পড়েছে নদীগুলোতেও।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ঝড়ের প্রভাব শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাগর শান্ত থাকলেও সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটাসংলগ্ন সাগরে উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হয়। সৈকতে আছড়ে পড়ে বড় বড় ঢেউ। ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মাছধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দুর্গত এলাকা থেকে যাতে মানুষকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া যায় সে জন্য সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
কুয়াকাটার হোটেল সংশ্লিষ্টরা জানান, আবহাওয়ার ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের কথা শুনে অনেক পর্যটক হোটেলের বুকিং বাতিল করে বিকেলে তাদের নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন। আর বর্তমানে যারা অবস্থান করছেন তারা আগামীকাল সকালে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন জানান, রাত ৯টার তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় ফণী পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
তিনি জানান, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে বর্তমানে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যেহেতু মূল ঘূর্ণিঝড় এদিকে আসবে না, সেহেতু মহাবিপদ সংকেতের দিকে যাবে না।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার দুপুরে ভারতে আঘাত হানার পর বাংলাদেশের উপকূলে সন্ধ্যায় আঘাত হানবে। কিন্তু ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব সকাল থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাহাত হোসেন জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর ৮৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।