,

ফজরের নামাজের আটটি লাভ

বিডিনিউজ ১০, ইসলাম ডেস্ক:

প্রথম লাভ
ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ইশার নামায আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো। [সহিহ মুসলিম]

দ্বিতীয় লাভ
সে দিনের পুরোটা আল্লাহর জিম্মায় থাকার দুর্লভ সৌভাগ্য। ফজরের নামাজ পড়লেই শুধু এ ঈর্ষণীয় সৌভাগ্য লাভ করা যাবে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে সারাদিন আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। [সহিহ মুসলিম]

তৃতীয় লাভ
ফজরের নামাজ কিয়ামতের দিন নুর হয়ে দেখা দিবে। হাদিসে এসেছে, ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদের কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ ‘নূর’ প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।’ [সুনানু আবি দাউদ]

চতুর্থ লাভ
সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর। সহিহ বুখারি]

পঞ্চম লাভ
রিযিকে বরকত আসবে। আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, ‘সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বণ্টন করা হয়।’

ষষ্ঠ লাভ
ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সব কিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। [সুনানুত তিরিমিযি]

সপ্তম লাভ
সরাসরি আল্লাহর দরবারে আপনার নাম আলোচিত হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফিরিশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও ফিরিশতাদের প্রশ্ন করেন, ‘আমার বান্দাদের কেমন রেখে এলে?’ তারা জবাব দেন, ‘আমরা তাদের নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনও তারা নামাজরত ছিল।’ [সহিহ বুখারি]

অষ্টম লাভ
ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতময় সূচনা হবে। কেননা রাসুল (সা.) দুয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন। [সুনানুত তিরমিযি]

দিনের শুরুটা ভালো কিছু দিয়ে শুরু করা মানেই হলো, ফজরের নামাজটা পড়া। আরও ভালো হয় যদি তাহাজ্জুদ দিয়ে শুরু করা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর