-
- দেশজুড়ে, সিলেট
- ‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে’ হাত-পা বাঁধা ছবি ফেসবুকে!
‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে’ হাত-পা বাঁধা ছবি ফেসবুকে!
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশের সময় October, 4, 2023, 7:45 pm
জেলা প্রতিনিধি, সিলেট: একটি ঘরের মেঝেতে হাত-পা বেঁধে সালমান আহমদ (২১) নামে এক যুবককে ফেলে রাখা হয়েছে এমন একটি ছবি গত ২৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই যুবককে ‘চোরাকারবারি সিন্ডিকেট টর্চার সেলে’ নিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানাতে পারে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হাত-পা বাঁধা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত সালমান সিলেটের জৈন্তাপুরের গুয়াবাড়ি এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৫ নম্বর ঘরের বাসিন্দা। ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর একদিন আগে সালমানের বড় ভাই সেবুল আহমদ (২৩) তাকে ও তার ভাইকে মারধর করার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।
অভিযোগে একই এলাকার পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেন সেবুল আহমেদ। পরে সেটি তদন্তের জন্য প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ।
ফেসবুকে পরে ছবি ছড়িয়ে পড়লে সেটিও তদন্ত করতে থাকে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হাত-পা বাঁধা ছবি ছাড়ানো হয়।
পুলিশ ও অভিযোগকারীর দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ি এলাকায় বিজিবি সদস্যদের একটি টহল দল যায়। বিজিবি সেখানে যাওয়ার জেরে সালমানের সঙ্গে একই এলাকার আরো কয়েকজন যুবকের কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সালমানকে উদ্ধার করতে গেলে সেবুলও আহত হন। হামলাকারী যুবকদের অভিযোগ ছিল, সালমান বিজিবি সদস্যদের খবর দিয়ে গ্রামে নিয়ে গেছেন। তবে সালমান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাত-পা বাঁধা ছবি ছড়ানোর ঘটনায় প্রথমে সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তার কথায় অসংলগ্নতা পাওয়া যায়। পরে ছবির ঘরের মেঝের সঙ্গে সালমানের ঘরের মেঝে মিলে যায়। ঘর তল্লাশি করে হাত-পা বাঁধার কাজে ব্যবহৃত দড়িও পাওয়া যায়। এতে পুলিশ নিশ্চিত হয়, টর্চার সেলে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ছড়ানো ছবিটি সালমানের ঘরেই ধারণ করা হয়েছে। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন সালমান। তবে তাঁকে কারা বেঁধে ছবি ধারণ করেছে, সেটি তিনি জানাননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘হামলার অভিযোগের পর উভয় পক্ষের সমঝোতার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাত-পা বাঁধা ছবিটির বিষয়ে তদন্ত চলছে। ছবি কারা তুলেছে, কারা ছড়িয়েছে, তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Related
এই বিভাগের আরও খবর