বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: ডা. সামন্ত লাল সেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা আগুনে পোড়া রোগীদের কাছের মানুষ। অতি পরিচিতজন হয়ে ওঠেন রোগীর স্বজনদের কাছেও। বিশেষ পরিচিত মিডিয়া পাড়াতেও। চকবাজার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মুখোমুখি ।
নিমতলী থেকে চকবাজার অগ্নিকাণ্ড। শিক্ষা হয়নি আজও। আগুনে পোড়া মানুষের চিকিৎসা দিচ্ছেন। আজ কেমন দেখলেন?
দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনার মতো করেই দেখতে হয়। কয়েকদিন আগে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন লাগল। মর্মান্তিক ছিল সে ঘটনা। অবশ্যই প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাকে অন্যভাবে ভাবায়। অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি। অনেক কান্নায় আমিও কাঁদি। পোড়া মানুষের কষ্টটায় সবচেয়ে বেশি। আজ আরও বেশি কষ্ট পেলাম।
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কী বলবেন?
আমরা দুর্ঘটনা কবলিত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এখন অনেকটা সক্ষম। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এমন রোগীদের পাশে থাকতে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর এটিই চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে মনে করি।
রাষ্ট্র, সমাজ বা ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতা নিয়ে কী বলবেন?
আমরা কোনো ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে চাই না। চকবাজারের ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঠিকঠাক যেতে পারেনি। উপযুক্ত রাস্তা ছিল না। পানির সংকট ছিল। একই চিত্র নিমতলীতেও দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারেনি। ভ্যান গাড়িতে করে রোগী আনতে হয়েছে। সচেতনতা সবারই দরকার। কী কারণে আগুন লাগল, কেন এত ক্ষতি হলো, তা নিয়ে ভাবনার আছে। একটি ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরেকটি ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব। তবে রাষ্ট্রের দায়টা এখানে বেশি বলে মনে করি।
চকবাজারে দগ্ধরা এখন কেমন আছেন?
চকবাজারে অগ্নিদগ্ধ ১৮ জন রোগী বার্ন ইউনিটে এসেছিলেন। এরমধ্যে ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৯ জনের অবস্থা খুব ভালো বলা যাবে না। কারো কারো শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। শরীরে অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত। এদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।