,

পুলিশ নিয়ে স্বামীর বিয়ে বন্ধ করলেন স্ত্রী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: প্রায় ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তান না হওয়ায় স্বামী শরিফ মিয়া (৩৫) বিভিন্ন অপবাদ ও নির্যাতন চালিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় স্ত্রী কোকিলা আক্তার (৩০)কে। সেখানেই গত এক বছর ধরে একাকী জীবন চলছিল স্ত্রীর। এ অবস্থায় খবর আসে তাঁর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করেছে স্বামী। সেই আয়োজন বন্ধ করতে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ নিয়ে স্ত্রী কোকিলা স্বামীর হবু বধূর বাড়িতে গিয়ে হানা দিয়ে বিয়ে পন্ড করে দেয়। এ ধরনের ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মাদারীনগর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কোকিলা হলেন- উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম এলাকার মজনু মিয়ার মেয়ে। গত ২০০৫ সালে ৮০ হাজার টাকার দেনমোহরে বিয়ে হয় খালাতো ভাই আব্দুর রাশিদের ছেলে মো. শরিফ মিয়াকে।
কোকিলা জানায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী যৌতুক দাবি করে আসছিল। এই অবস্থায় সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে কয়েক দফায় প্রায় লাখ টাকা দেওয়াও হয়। কিন্তু থেমে থেমে ফের য়ৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন অত্যাচার করে আসছিল। এক সময় হুমকি দেয় আমার সন্তান না হওয়ায় আমাকে ছেড়ে ফের বিয়ে করবে। এই অবস্থায় গত এক বছর আগে চাপাচাপি করে স্বেচ্ছায় তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যেতে। এই কথা না রাখায় ব্যাপক মারধর করে ভরণপোষণ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসি।
এর মধ্যে একটি বারও কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখায় এক মাস আগে এলাকা চেয়ারম্যানে কথায় স্বামীর বাড়ি গেলে শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে খবর আসে পাশের খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার দুলাল মিয়ার মেয়ে মনি আক্তারকে বিয়ে করতে সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। পরে থানায় লিখিত স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িরর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
নান্দাইল থানার এএসআই দীলিপ জানান, অভিযোগ পেয়ে তিনি অভিযুক্ত শরিফের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাননি। তবে বাড়ির সামনে দুই মাইক্রোবাস দেখতে পেয়ে তিনি সেগুলো তাড়িয়ে দেন এবং বরের সাথের জনেরা পালিয়ে যায়। পরে পাশেই কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেন। সেই সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মীমাংসা না করে দ্বিতীয় বিয়ে করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

এই বিভাগের আরও খবর