,

পরীক্ষা দেয়া হলো না ভর্তি বাতিল করা ১৩ ছাত্রীর

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: ভর্তি বাতিল করায় অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি গোপালগঞ্জ জেলা শহরের শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ ছাত্রী।

ওই শিক্ষার্থীরা শনিবার সকালে পরীক্ষা দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘আজ আমাদের ক্লাসের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আমরা এসে দেখি আসন বিন্যাসে আমাদের রোল নম্বর নেই। স্কুল ভবনে ঢুকতে গেলে অনুপ কুমার বিশ্বাস স্যার আমাদের বাধা দেন। এ জন্য আমরা পরীক্ষা দিতে পারিনি।’

এদিকে পরীক্ষা দিতে না দেয়ায় অধ্যক্ষ শাহানাজ রেজা অ্যানির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অভিভাবকরা।

পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দিন স্কুলে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয় তার আইন অনুযায়ী চলবে। এসব শিক্ষার্থীর বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’

স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার দুপুরে মানববন্ধন করে এই স্কুলের ৫৮ শিক্ষার্থী। এ সময় অভিভাবকও তাদের সঙ্গে ছিলেন।

পরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহীদুল ইসলাম খান বলেন, ‘৫৮ শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করছিল। হঠাৎ তাদের ভর্তি অবৈধ উল্লেখ করে স্কুলে আসতে ও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বছরের অর্ধেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ছে।’

ভর্তি বাতিল করায় এই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়নি অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফি।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কোনো মন্তব্য না করলেও জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘যে ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের কথা বলা হচ্ছে তারা এ স্কুলের শিক্ষার্থীই না। স্কুলে তাদের কোনো কাগজপত্র জমা নেই। হাজিরা খাতায় তাদের নাম নেই। তারা অবৈধভাবে স্কুলে ক্লাস করছিল।

‘ব্যাপারটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’

এই বিভাগের আরও খবর