,

পদ্মায় ধরা পড়ল ১৮ কেজির বাগাড় মাছ

জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। আজ শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও হতাশ ছিলেন। পানি বাড়ায় অনেক দিন পর পদ্মা নদীর মোহনায় জাফরগঞ্জ এলাকায় জেলে মদন হালদার ও তাঁর দল জাল ফেললে ১৮ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে।

জেলে মদন হালদার বলেন, ‘শনিবার ভোরে আমি ও আমার দল নদীতে মাছ ধরতে যাই। দীর্ঘক্ষণ কোনো মাছ না পেয়ে আমরা বাড়ি ফিরে আসার জন্য মনস্থির করে শেষবারের মতো জাল ফেলি। জাল তোলার সময় কয়েকবার বড় ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারি বড় কোনো মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তুলেই দেখতে পাই বড় একটি বাগাড় মাছ।’

জেলে আরও বলেন, সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া মাছবাজারের আড়তদার দুলাল চালাকের ঘরে বিক্রির জন্য নিয়ে এলে সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়। পরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।

৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার শাকিল সোহান মৎস্য আড়তের মালিক মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে দুলাল চালাকের আড়ত থেকে নিলামে ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে মোট ১৮ হাজার ৯০০ টাকায় কিনে নিই। পরে বিক্রির জন্য ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। উৎসুক জনতা অনেকে মাছটি দেখতে ফেরিঘাটে ভিড় করেন।

শাহজাহান শেখ আরও বলেন, ‘অনেক দিন পর নদীতে এত বড় বাগাড় মাছ পাওয়া গেছে। এতে জেলেরা যেমন খুশি হয়েছেন, আমরাও তেমন খুশি হয়েছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে মাছটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে মোট ২১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি।’

গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরিফ বলেন, ‘বছরে নির্দিষ্ট একটা সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ফলে মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এ ছাড়া এখন নদীতে পানি বাড়ার কারণে বড় বড় মাছ নদীতে পাওয়া যাবে। পানি বেশি থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাগাড়সহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে আশা করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর