মো. খোরশেদ আলম, পঞ্চগড়: ফসল আবাদে সোনার উপজেলা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ। এখানে এমন কোনো ফসল নেই, যার আবাদ হয় না। কম খরচে আবাদ ভাল। লাভও বেশি।
বিগত কয়েক বছর উপজেলার চাষিরা মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। ফলে এবারও তারা সরিষা চাষে বেশি ঝুঁকেছেন।
দেবীগঞ্জের পামুলী ইউনিয়নের বিনয়পুর সেনপাড়া গ্রামের সত্যেন চন্দ্র, রহমান আলী, আব্দুর রহিম জানান, সরিষা এমন ফসল, চাষ করলে মাটির উর্বরতা বাড়ে। এজন্য আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে কৃষকেরা সরিষা চাষ করেন।
তারা জানান, সরিষা আবাদে কোনো সেচ লাগে না। সার এবং কীটনাশকও তেমন প্রয়োগ করতে হয় না। ফলে কম খরচে বেশি লাভ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলার দিগন্তজুড়ে সরিষা আর সরিষা। যেন সবুজের ওপর হলুদের সামিয়ানা। শীতের ভোরে শিশির সিক্ত হওয়ায় তাতে ফুটে উঠেছে ভিন্ন আবহ।
কৃষকেরা জানান, এক একর (দেশীয় মাপে ৩ বিঘা) জমিতে সরিষা চাষে সবমিলে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকার মতো। প্রতি একরে ১৫ মণ সরিষা পাওয়া সম্ভব। বাজারে ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলেও দ্বিগুণ লাভ।
এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবার দেবীগঞ্জে অন্তত ৬০০ কৃষককে সরিষা চাষে প্রণোদনা দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
দেবীগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কাদির সরকার জানান, গতবার উপজেলায় ৯শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। এবার তা এক লাফে ১২শ’ হেক্টরে পৌঁছেছে। এবার ১৬শ’ মেট্রিক টনের বেশি সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি।